প্ল্যান্টার হাইপারহাইড্রোসিস: পায়ের অতিরিক্ত ঘাম সমস্যা
প্ল্যান্টার হাইপারহাইড্রোসিস (Plantar Hyperhidrosis) বা পায়ের তলায় অতিরিক্ত ঘাম (Sweaty Feet) আক্রান্ত রোগীদের জীবনযাত্রার মান এবং মানসিক সুস্থতার ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। ঘামের কারণ এর উপর নির্ভর করে হাইপারহাইড্রোসিস বা অতিরিক্ত ঘাম সমস্যাকে প্রাইমারি ফোকাল হাইপারহাইড্রোসিস এবং সেকেন্ডারি জেনারেলাইজড হাইপারহাইড্রোসিস এই দুই শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। প্ল্যান্টার হাইপারহাইড্রোসিস মূলত প্রাইমারি ফোকাল হাইপারহাইড্রোসিস এর অন্তর্ভুক্ত। এটিকে ইডিওপ্যাথিক হাইপারহাইড্রোসিস বলা হয়। পায়ের তলায় অতিরিক্ত ঘামের জন্য রোগীর ত্বকে ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসজনিত সংক্রমণের সামগ্রিক ঝুঁকি থাকে। পৃথিবীর ৩ শতাংশ মানুষ প্ল্যান্টার হাইপারহাইড্রোসিসে আক্রান্ত এবং এ সমস্যাটি সাধারণত শৈশব বা বয়সন্ধিকালে শুরু হয়।
এই ধরনের অবস্থার সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো “অতিরিক্ত ঘাম” মোজা এবং জুতায় লেগে থাকার কারণে এক বিশেষ ধরনের অস্বস্তিকর অনুভূতি সৃষ্টি করে। এছাড়াও যারা পায়ে অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করে, তাদের ঘামের কারণে প্রায়শই জুতা কেনার প্রয়োজন হয়. এমনকি নির্দিষ্ট ধরনের জুতা বা স্যান্ডেল যেমন ফ্লিপ ফ্লপ সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলতে হয়।
তাছাড়া যাদের প্ল্যান্টার হাইপারহাইড্রোসিস আছে, তাদের ঘামের কারণে পা দীর্ঘস্থায়ীভাবে ঠাণ্ডা হয়ে যায় এবং অনেক রোগী স্যাঁতসেঁতে পায়ের ছাপ ফেলে যাওয়ার ভয়ে অন্যদের চারপাশে খালি পায়ে হাঁটা এড়িয়ে চলেন।
পালমার হাইপারহাইড্রোসিসের মতো, প্ল্যান্টার হাইপারহাইড্রোসিস মানসিক চাপের পরিস্থিতিতে, তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে এবং অন্যান্য কারণগুলির প্রতিক্রিয়া হিসাবে পায়ের হাইপারঅ্যাক্টিভ ঘাম গ্রন্থিগুলির কারণে ঘটে। কিছু ক্ষেত্রে, অত্যধিক ঘাম হওয়ার কোনও আপাত কারণ থাকে না এবং ঘামের সূত্রপাত হবে আকস্মিকভাবে এবং কোন ধরনের সতর্কতা ছাড়াই। দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপগুলি পায়ের ঘাম গ্রন্থিগুলিকে অতিরিক্তভাবে উদ্দীপিত করে, যার ফলে পা অস্বাভাবিকভাবে ঘামতে শুরু করে।
প্লান্টার হাইপারহাইড্রোসিস উভয় পাকে সমানভাবে আক্রান্ত করে। এই অবস্থাটি হালকা ঘাম থেকে শুরু করে তীব্র ক্রমাগত ঘাম পর্যন্ত হতে পারে, কিন্তু ঘুমিয়ে পড়লে তা বন্ধ হয়ে যায়।
প্লান্টার হাইপারহাইড্রোসিসের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, পায়ের অত্যধিক ঘাম (Sweaty Feet) রোগীর অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যার সাথে সম্পর্কিত নয়। প্ল্যান্টার হাইপারহাইড্রোসিস নির্ণয়ের ক্ষেত্রে একজন রোগীর অতিরিক্ত ঘামের ইতিহাস এবং ঘাম কত দ্রুত ফিরে আসছে সেটার সময়কালই যথেষ্ট।
সাধারণত ডাক্তাররা অন্য কোন ইনভেস্টিগেশন এর প্রয়োজন বোধ করেন না। তবে যদি রোগীর শরীরের খুব বড় একটা অংশ জুড়ে ঘাম হচ্ছে বা রাতে ঘুমের মধ্যে ঘাম হচ্ছে তা হলে ডাক্তাররা অধিকতর ইনভেস্টিগেশন বিবেচনা করতে পারে।
এটির চিকিৎসায় টপিকাল অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড, আয়নটোফোরেসিস, ইনজেকশনযোগ্য বোটুলিনাম টক্সিন এ, গ্লাইকোপাইরোলেট, অক্সিবিউটিনিন, লেজার এবং এন্ডোস্কোপিক লাম্বার সিম্প্যাথেক্টমি এর মত চিকিৎসা পদ্ধতি ডাক্তাররা বিবেচনা করে থাকে। অনেক সময় ডাক্তাররা রোগীর জীবন যাপনের পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যবিধি, জুতার গিয়ার, ইনসোলস ও মোজার বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন বিবেচনা করে।
প্লান্টার হাইপারহাইড্রোসিসের জন্য অনেক সময় চলমান এবং অবিরাম চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। যাইহোক, কিছু লোকের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঘামের পরিমাণ হ্রাস পায়।
।
প্রাসঙ্গিক প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ-
আয়ন্টোফোরেসিস (Iontophoresis): হাত-পায়ের অতিরিক্ত ঘাম সমস্যার কার্যকর সমাধান
১৯৪০ সাল থেকে হাত এবং পায়ের অতিরিক্ত ঘামের চিকিৎসায় আয়ন্টোফোরেসিস পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
আরো বিস্তারিত….
হোম আয়ন্টোফোরেসিস (Iontophoresis) থেরাপি সেবা
বাসায় বসে আয়ন্টোফোরেসিস (Iontophoresis) থেরাপি সেবা গ্রহণ করে, মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে হাত ও পায়ের অতিরিক্ত ঘামকে স্বাভাবিক করুন।
আরো বিস্তারিত….
সোয়েট-গার্ড: আধুনিক আয়ন্টোফোরেসিস (Iontophoresis) ডিভাইস
বাসায় বসে আয়ন্টোফোরেসিস ডিভাইস Sweat- Guard ব্যবহার করে ১৫ দিনের মধ্যে হাত ও পায়ের অতিরিক্ত ঘামের মত বিব্রতকর এবং অস্বস্তিকর শারীরিক সমস্যা প্রশমিত করুন।